৫০ হাজার শিক্ষক নিবে (NTRCA)

৫০ হাজার শিক্ষক নিবে (NTRCA)

৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু | জয়নিউজবিডি

সারা দেশে বেসরকারি স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। শূন্য পদের বিপরীতে এ নিয়োগ দিতে জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। 

এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন বা প্রোফাইল হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে। সেই চাহিদা পাওয়ার পরপরই ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এনটিআরসিএ’র সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জাননো  হয়েছে। ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করবে সংস্থাটি। পরবর্তীতে তথ্য যাচাই শেষে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে ৫ম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

৫ম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে এনটিআরসিএ-এর প্রচলিত নিয়ম অনুসারে সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের শূন্যপদের তথ্য চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) অনলাইনে সংগ্রহ করা হবে। অনলাইনে চাহিদা প্রদানের (E-Requisition) পূর্বশর্ত হিসাবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আবশ্যিকভাবে ই-রেজিস্ট্রেশন (অনলাইন নিবন্ধন) কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, যে সকল প্রতিষ্ঠান পূর্বেই ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে তাদেরকে অবশ্যই ই-রেজিস্ট্রেশন প্রোফাইল হালনাগাদ করতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে ই-রেজিস্ট্রশন সম্পাদন না করলে কিংবা প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে অনলাইনে নিয়োগযোগ্য শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) প্রদান করা সম্ভব হবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য অপরিবর্তিত থাকলেও ঐ প্রতিষ্ঠানকে লগইন করে Submit বাটনে ক্লিক করতে হবে।


২৯ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-রেজিস্ট্রেশন এবং পূর্বে ই-রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ করার জন্য অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।

এর আগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ ছিল ৬৮ হাজার ৩৯০টি। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় মাত্র ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা সম্ভব হয়। এবারও শূন্য পদের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি হবে। কারণ, আগের গণবিজ্ঞপ্তির ৪১ হাজার পদ এখনো ফাঁকা রয়েছে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দূর করতে এক বা একাধিকবার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিল। আর সেই পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।


পরিপত্রে বলা হয়েছে, শূন্যপদের চাহিদা প্রাপ্তি সাপেক্ষে এনটিআরসিএ প্রয়োজনে তিন মাস অন্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে পারবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে প্রাপ্ত শূন্যপদের ভিত্তিতে ওয়েবসাইটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে এবং নিবন্ধিত প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ১৫ দিন অথবা এনটিআরসিএর  নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করবেন।

আইনি বাধা কেটে যাওয়ায় এখন বছরে দুটি, সম্ভব হলে তিন মাস অন্তর অন্তর একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ ঠিক রাখতে চায় সংস্থাটি।

Post a Comment

0 Comments